পদ্মার তীরে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আগমণ! - শ্রীল বৃন্দাবন দাস ঠাকুর

পদ্মার তীরে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আগমণ!

পদ্মার তীরে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আগমণ!

শ্রীচৈতন্য ভাগবতের আদিকান্ডের চতুর্দশ অধ্যায়ে শ্রীল বৃন্দাবন দাস ঠাকুর পদ্মা নদীর তীরে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুু আগমন বিষয়ে বর্ণনা করেছেন---

"হেনমতে গৌরসুন্দর ধীরে ধীরে।

কতদিনে আইলেন পদ্মাবতী তীরে।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৫৮)

পদ্মা ও পদ্নাতট বর্ণন--

"পদ্মাবতী-নদীর তরঙ্গ শোভা অতি।

উত্তম পুলিন, --যেন উপবন তথি।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৫৯)

পদ্মায় সশিষ্য প্রভুর স্নান--

"দেখি পদ্মাবতী প্রভু মহা কুতুহলে।

গণ-সহ স্নান করিলেন তা'র জলে।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৬০)

প্রভুর পাদপদ্ম স্পর্শে পদ্মার সর্বলোকপাবন তীর্থখ্যাতি লাভ---

"ভাগ্যবতি পদ্মাবতী  সেই দিন হৈতে।

যোগ্য হৈল সর্বলোক পবিত্র করিতে।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৬১)

পদ্মার সৌন্দর্য বর্ণন--

"পদ্মাবতী-নদী অতি দেখিতে সুন্দর।

তরঙ্গ-পুলিন-স্রোত অতি-মনোহর।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৬২)

সৌভাগ্যবতী পদ্মার তীরে প্রভুর কিয়দ্দিবস অবস্থান--

"পদ্মাবতী দেখি' প্রভু পরম-হরিষে।

সেই স্থানে রহিলেন তার ভাগ্য-বশে।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৬৩)

নবদ্বীপে গঙ্গাজলে স্নানলীলার ন্যায় সশিষ্য প্রভুর প্রত্যহ পদ্মায় স্নান লীলা--

"যেন ক্রীড়া করিলেন জাহ্নবীর জলে।

শিয্যগণ-সহিত পরম-কতুহলে।।

সেই ভাগ্যে এবে পাইলেন পদ্মাবতী।

প্রতিদিন প্রভু জল ক্রীড়া করে তথি।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৬৪-৬৫)

প্রভুর অপ্রাকৃত পদস্পর্শে পূর্ববঙ্গের সৌভাগ্য বর্ণন---

"বঙ্গদেশে গৌরচন্দ্র করিলা প্রবেশ।

অদ্যাপিহ সেই ভাগ্যে ধন্য বঙ্গদেশ।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৬৬-)

প্রভুর পদ্মা-তটে অবস্থান-শ্রবণে সকলের হর্ষ----

"পদ্মাবতী তীরে রহিলেন গৌরচন্দ্র।

শুনি' সর্বলোক বড় হইল আনন্দ।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৬৭)


শ্রীচৈতন্য ভাগবতের আদিকান্ডের চতুর্দশ অধ্যায়ে শ্রীল বৃন্দাবন দাস ঠাকুর পদ্মা নদীর তীরে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুু আগমন বিষয়ে বর্ণনা করেছেন---

"হেনমতে গৌরসুন্দর ধীরে ধীরে।

কতদিনে আইলেন পদ্মাবতী তীরে।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৫৮)

পদ্মা ও পদ্নাতট বর্ণন--

"পদ্নাবতী-নদীর তরঙ্গ শোভা অতি।

উত্তম পুলিন, --যেন উপবন তথি।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৫৯)

পদ্মায় সশিষ্য প্রভুর স্নান--

"দেখি পদ্মাবতী প্রভু মহা কুতুহলে।

গণ-সহ স্নান করিলেন তা'র জলে।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৬০)

প্রভুর পাদপদ্ম স্পর্শে পদ্মার সর্বলোকপাবন তীর্থখ্যাতি লাভ---

"ভাগ্যবতি পদ্মাবতী  সেই দিন হৈতে।

যোগ্য হৈল সর্বলোক পবিত্র করিতে।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৬১)

পদ্মার সৌন্দর্য বর্ণন--

"পদ্মাবতী-নদী অতি দেখিতে সুন্দর।

তরঙ্গ-পুলিন-স্রোত অতি-মনোহর।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৬২)

সৌভাগ্যবতী পদ্মার তীরে প্রভুর কিয়দ্দিবস অবস্থান--

"পদ্মাবতী দেখি' প্রভু পরম-হরিষে।

সেই স্থানে রহিলেন তার ভাগ্য-বশে।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৬৩)

নবদ্বীপে গঙ্গাজলে স্নানলীলার ন্যায় সশিষ্য প্রভুর প্রত্যহ পদ্মায় স্নান লীলা--

"যেন ক্রীড়া করিলেন জাহ্নবীর জলে।

শিয্যগণ-সহিত পরম-কতুহলে।।

সেই ভাগ্যে এবে পাইলেন পদ্মাবতী।

প্রতিদিন প্রভু জল ক্রীড়া করে তথি।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৬৪-৬৫)

প্রভুর অপ্রাকৃত পদস্পর্শে পূর্ববঙ্গের সৌভাগ্য বর্ণন---

"বঙ্গদেশে গৌরচন্দ্র করিলা প্রবেশ।

অদ্যাপিহ সেই ভাগ্যে ধন্য বঙ্গদেশ।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৬৬-)

প্রভুর পদ্মা-তটে অবস্থান-শ্রবণে সকলের হর্ষ----

"পদ্মাবতী তীরে রহিলেন গৌরচন্দ্র।

শুনি' সর্বলোক বড় হইল আনন্দ।।"

(শ্রীচৈঃভাঃআদিঃ১৪/৬৭)


(শ্রীপাদ মুকুন্দ ভক্তি প্রভুর কাছ থেকে সংগৃহীত)

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url